তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “পঁচিশতম বর্ষে লক্ষ্য চব্বিশ– এটাই আমাদের এবারের সভার মূল আঙ্গিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনতে সকলে মুখিয়ে রয়েছেন। আমরা এই সমাবেশ সফল করতে সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।” যাঁরা দূরের জেলা থেকে আসছেন তাঁদের থাকার জন্য ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র ও নেতাজ ইন্ডোরের একাংশে ব্যবস্থা করা হয়েছে। লোকসভার লক্ষ্যে ছাত্র সমাজকে কী বার্তা দেন মমতা বন্দোপাধ্যায় সেদিকেই নজর সকলের।
শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ যে বাংলার নতুন প্রজন্মের উপর কোনও প্রভাব ফেলেনি, দলের তরফে তা বোঝাতে চাইছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই প্রথম ছাত্র সমাবেশকে কেন্দ্র করে কর্পোরেট ধাঁচে স্বেচ্ছাসেবক পোস্টিং, কার পার্কিং এবং জেলার সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য বিশেষ টিম রাখছেন ছাত্রনেতারা।
২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবসে লক্ষ্য ২০২৪। এই লক্ষ্যেই ছাত্র পরিষদের সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি নিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের মতো এই ছাত্র সমাবেশে টার্গেট লক্ষাধিক সমাগম। রবিবার সকাল থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে আসবেন ছাত্র-ছাত্রীরা। সোমবার ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষ্যে গান্ধী মূর্তির নীচে অনুষ্ঠান হবে, মূল সমাবেশ হবে সোমবার। তারই প্রস্তুতিতে ব্যস্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং জেলা থেকে প্রায় ৪০ হাজার মতো ছাত্র-ছাত্রী সমাবেশে যোগ দিতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদ সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে, রেকর্ড সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী আসতে চলেছেন মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে। রবিবার সকাল ও সন্ধ্যা মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজারের বেশি ছাত্র-ছাত্রী পৌঁছে যাবে। মালদহ ও দুই দিনাজপুর থেকেও অন্যবারের তুলনায় বেশি সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী আসবে বলে আশাবাদী তারা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্ব বলছে জঙ্গলমহল থেকেও আসছে বহু ছাত্র-ছাত্রী।